আজ || শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম :
  বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত       বাহরাইন শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (LMRA) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ফেনীর দাগনভূঞায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত       ফেনীর দাগনভূঞায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা       বাহরাইনের ফ্যামিলি মাইক্রোফাইন্যান্স হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       বাহরাইনের বিচার, ইসলামী ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক       ক্ষমতার প্রভাবে শিক্ষকতা না করেও ১৫বছর যাবত স্কুলের বেতন উত্তোলন করেন রাবেয়া আক্তার রাবু       বাহরাইনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব       নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাহরাইন শাখার আয়োজনে নবমী পূজা পালিত       বাংলাদেশ নজরুল সেনা ফেনী জেলার উদ্যোগে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত    
 


ফেনী ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

মো.স্বপন মজুমদার:

ফেনী ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে বাংলাদেশের ৫২ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে সকাল ৯টায় জাতীয় এবং ইউনিভার্সিটির পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদযাপন শুরু হয়। তারপর শহীদদের সম্মান প্রদর্শনার্থে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে ফেনী ইউনিভার্সিটির
কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম জামালউদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. এ কে এম সাহিদ রেজা।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফেনী ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফুল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সাহিদ রেজা বলেন, চার মূলনীতি তথা গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এই চার মূলনীতি যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি মানুষের উন্নয়নের জন্য সমবায়কে পুনর্গঠন করে ঢেলে সাজানোর উপর জোর দেন। তিনি উদ্যোক্তা তৈরি করে বেকারত্ব দূর করে সবার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পরামর্শ দেন। মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধ সম্বোধন করে ড. রেজা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরে জনসম্পৃক্তা ছিলো। ‘৭১ এ ঘটে যাওয়া নিজের জীবন থেকে জনসম্পৃক্তার বেশ কিছু ঘটনা তিনি তুলে ধরেন।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক তায়বুল হক তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পর সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম জামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়।

স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করবার জন্য তিনি কিছুটা আত্নসমালোচনাও করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, পরমত অসহিষ্ণুতা, রাজনৈতিক উগ্র উন্মাদনা, সামাজিক অবক্ষয়, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সংঘাতের সশস্ত্র বিক্ষোভ আমাদের জাতীয় জীবনে নতুন উপসর্গ রূপে দেখা দিয়েছে। অসংখ্য লোক অশিক্ষা ও দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়েই জীবন যাপন করছে। বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা।

এধরণের সমস্যা মোকাবেলায় তিনি তরুণদের এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তোমরাই তোমাদের মেধা ও সততা দিয়ে এই বিজয় অর্জনকে সফল করে তুলবে। পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি আজকের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার এএসএম আবুল খায়ের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হারুন আল রশীদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শাহ আলম, প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক মো: আয়াতুল্লাহ ও ছাত্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ইউনুস সহ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।


Top